,

দুই যুগেও নিজস্ব ভবন হয়নি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার

জুয়েল চৌধুরী : শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা দীর্ঘ ২৫ বছরেও নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর হয়নি। জোড়াতালি দিয়ে চলছে কার্যক্রম। এ গ্রেডের এ পৌরসভাটি ১৯৯৮ সালে ২৫ মার্চ মাসে ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পৌরসভার কার্যক্রম চলছে উপজেলা বিএডিসি সার গুদামে । পরে ২০০৫ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর ‘খ ‘ শ্রেণি এবং ২০১৩ সালে ১২ মার্চ ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নতি হয়। এর আয়তন ১৪. ৬৩ বর্গকিলোমিটার। ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টি। জনসংখ্যা ১৭ হাজার ৯৬১ জন। বর্তমান মেয়র এফ এম আহমেদ অলি বিএনপি শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি।
পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকান্ড বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, করোনাকালীন দায়িত্ব নিলেও উন্নয়ন কর্মকান্ড থেমে ছিল না। প্রত্যেক ওয়ার্ডের সড়ক বাতির মাধ্যমে আলোকিত করা হয়েছে। তবে ৯টি ওয়ার্ডের মানুষের হাঁড়ির খবর জানা রয়েছে। তাই পৌর শহরের মানুষ মেয়রের ওপর আস্থা রেখেই চতুর্থবার নির্বাচিত করেছে। তাই নির্বাচিত মেয়রের ওয়াদা নগরবাসীর সেই আস্থার প্রতিপালন করবে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে। ২০২৫ সালের মধ্যে পৌর শহরের চেহারা পাল্টে যাবে। পৌরসভায় ৩টি বাজার রয়েছে। পুরান বাজার, দাউদ নগর বাজার ও আলীগঞ্জ ড্রাইভার বাজার। প্রতিদিনই এতে হাট বসে ও এখানে পণ্য ও পশু-পাখি কেনাবেচা করতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু নিজস্ব ভবন না থাকায় দুর্ভোগের সঙ্গে পৌরসভার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড় যুগ পর ও ‘ এ শ্রেণির গ্রেডের পৌরসভা নিজস্ব ভবন না থাকায় সঠিক ভাবে নাগরিক সেবা নিশ্চিত হচ্ছে না । দীর্ঘ দিন ধরে পৌর ভবনের জন্য দাবী জানানো হলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মেয়র আরও বলেন, পৌরভবনের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। এছাড়া পৌর নাগরিকদের জীবন-মান উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর